Tuesday, February 4, 2025
HomeLocalজামালপুরে জলাভুমি দিবসে আলোচনা সভা

জামালপুরে জলাভুমি দিবসে আলোচনা সভা

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা’ জামালপুর

প্রান প্রকৃতি বেঁচে থাকার জন্য জলাভুমি অপরিহার্য” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে “বিশ^ জলাভুমি দিবস-২০২৩” উদযাপনের লক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জামালপুর জেলা শাখা আলোচনা সভার আয়োজন করে।
গতকাল ৪ ফ্রেব্রƒয়ারী/২৩ সকাল ১১ টায় শহরের পিটিআই গেইটে এক মানব বন্ধনে “জলাধার ভরাট কেন ক্ষতিকর” এ বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন বাপার সদস্যবৃন্দ।

মানব বন্ধন শেষে এসপিকে‘র হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সুশিল সমাজ,বেসরকারী এনজিও, শিক্ষক,ডাক্তার,প্রকৌশলী, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক সহ প্রায় ৪০টি সংগঠনের প্রতিনিধীদের সমন্বেয়ে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, বাপা জামালপুর জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি এ,কে এম মাহবুবুর রহমান মহব্বত। প্রধান অতিথী ছিলেন , পরিবেশ অধিদপ্তর, জামালপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুদ রানা । বিশেষ অতিথী ছিলেন বাপা‘র কেন্দ্রিয় নির্বাহী সদস্য ইবনুল সাঈদ রানা।
বাপা জামালপুর জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ এনামুল হকের সঞ্চালনায় “বিশ^ জলাভ‚মি দিবসে-২০২৩” “ জামালপুর জেলার জলাভ‚মির অবস্থা” বিষয়ক কি-নোট পেপার এর মাধ্যমে জেলার জলাভূমির অবস্থা ও পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হলে -এর উপর বক্তব্য রাখেন. বাপা‘ জামালপুর জেলা শাখার যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, নির্বাহী সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ মুনরুজ্জামান খান, রাশিদা ফারুকী, সহ-সভাপতি, বাপা, জামালপুর জেলা শাখা, মোঃ ছামিউল হাসান শামিম, ব্যাংকার ও সদস্য, বাপা,জামালপুর জেলা শাখা, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সরকার, কোষাধক্ষ্য, বাপা, জামালপুর জেলা শাখা, এড, বিপ্লব দে বাচ্চু, আইনজীবি ও সহ-সভাপতি, বাপা, জামালপুর জেলা শাখার, রাজু আহম্মেদ, পারী ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট, জামালপুর। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের ১৮ “ক” অনুচ্ছেদে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষনের কথা বলা হয়েছে। রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যত নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষন ও উন্নয়ন করবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ,জীববৈচিত্র, জলাভুমি, বন ও বন্য প্রানী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করবেন। যা সরকারের পরিবেশ বান্ধব নীতির প্রতিফলন হিসাবে বিবেচনা করা যায়।
প্রধান অতিথী পরিবেশ অধিদপ্তর,জামালপুর এর সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুদ রানা বলেন, প্রান প্রকৃতি রক্ষায় বাপার ভ‚মিকাকে স্বাগত জানাই এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে সহায়ক হিসাবে পরিবেশ নিয়ে কাজ করার জন্য সকলকে আহবান জানান। ভাল কাজে সরকারের তথা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগীতা অব্যহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরবিশে ও জীব বচৈত্রিরে সবচযে়ে সমৃদ্ধ উদাহরণ হল জলাভূম।ি দুই ফব্রেুয়ারি বশ্বি জলাভূমি দবিসরে এবছররে প্রতপিাদ্য বষিয় “প্রাণ প্রকৃতি বচেঁে থাকার জন্য জলাভূমি অপরহর্িায”। জলাভূমরি অপরসিীম গুরুত্ব অনুভব করে ১৯৭১ সালে এই দনিে ইরানরে রামসার শহরে পরবিশেবাদী সম্মলেনে জলাভূমরি টকেসই ব্যবহার ও সংরক্ষণরে জন্য একটি আর্ন্তজাতকি চুক্তি সই হয়। এটি রামসার কনভনেশন চুক্তি বলে পরচিতি।
১৯৭৫ সালে রামসার কনভনেশন চুক্তি র্কাযকর হয়। ১৯৯২ সালে বাংলাদশেে এই চুক্ততিে সই কর।ে এখন র্পযন্ত ১৭১ টি দশে চুক্তি অনুমোদন করছে।ে ১৯৯৭ সাল থকেে ২ ফব্রেুয়ারি আইইউসএিন, ইউনস্কেো সহ বভিন্নি আর্ন্তজাতকি সরকারি ও বসেরকারি সংস্থার মাধ্যমে ১০০ এরও বশেি দশেে পরবিশে সচতেন নাগরকি বশ্বি জলাভূমি দবিস পালন করছনে। ইউনস্কেোর ডান্সার কনভনেশনরে সমন্বয়করে দায়ত্বি পালন করে আসছ।ে বাংলাদশে নদীমাতৃক দশে। বাংলাদশেরে সংবধিানরে ১৮ ক এর অনুচ্ছদেে পরবিশে ও জীববচৈত্রি সংরক্ষণরে কথা বলা হয়ছে,ে রাষ্ট্র র্বতমান ও ভবষ্যিৎ নাগরকিদরে জন্য পরবিশে সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করবিনে এবং প্রাকৃতকি সম্পদ, জীববচৈত্র্যি, জলাভূম,ি বন ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নরিাপত্তা বধিান করবিনে, যা সরকাররে পরবিশেবান্ধব নীতরি প্রতফিলন হসিবেে ববিচেনা করা যায়।

জামালপুর জলোর বৃহত্তর একটি নদী হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, অন্যটি হচ্ছে যমুনা। বৃহত্তর নদীর অসংখ্য শাখা-প্রশাখা, উপনদীর মধ্য দযি়ে জামালপুর জলো সুবস্তিৃত জল নটেওযর়্াকরে মধ্য দযি়ে জন মানুষকে সমৃদ্ধ করে আসছ।ে জামালপুর জলোতে অসংখ্য নদ নদীর মধ্যে চৌদ্দটি নদীকে র্বতমান সময় প্রবাহতি হতে দখো যায়। নদীগুলোর নাম হচ্ছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ, যমুনা নদী, ঝনিাই নদী, বানার নদী, জঞ্জিরিাম নদী, মরা জঞ্জিরিাম নদী, আইমন নদী, আলাই নদী, র্কণ ঝড়া নদী, চাতাল নদী, ঝারকাটা নদী, বংশী নদী, শুর্বণখালি নদী, মোবারা নদী, সরিখালি নদী। জামালপুর জলো জলাধার হসিবেে অসংক্ষ খাল বলিরে অস্তত্বি পাওয়া যায়, এগুলোর মধ্যে স্বীকৃত জল মহল গুলো হলো আড়ালযি়া বলি ,নালীখালী বলি, রুহ বলি, ডুবাইল বলি, মরা ডুবাইল বলি, ভুগল বলি, সঙ্গিার বলি, ঘাকুড়া বলি, বড় বলিা, রৌমারি বলি, শশিুয়া জলমহল, চডি়া ভজিা বলি, খড়কা বলি, পচা বহালা বলি, বশৈাকুড়া বাঁকা বলি, খলযি়াদহ ঢঙ্গোরগর বলি, কুকড়া বলি, পযি়াররে ছড়া, টনি থোবা বলি, কুইরা বলি,বামুঞ্জি বলি দখেতে পাওয়া যায়। আমি আমাদরে খাল গুলোর কথা বলতে গলেে কষ্ট লাগ,ে নদী আজ খাল, খাল আজ অস্তত্তি হনি, জলাধার ময়লার ভাগাড়। বানার নদী আজ বানার খাল, বংশ নদী আজ বংশ খাল। বানযি়া বাজার খাল, গবাখালি খাল, চতলা খাল আরও অনকে খাল যাদরে নাম আমি উল্লখে করতে কষ্ট হয়, এদরে সংরক্ষণরে প্রয়োজন। আমাদরে এখনো অনকে পুকুর আছ,ে শতর্বষী ও চন্দ্রা দঘিীর মালকিানা পরর্বিতন এর মাধ্যমে দঘিটিি ভরাট করে শ্রণেী পরর্বিতনরে পায়তারা চলছ।ে রামনগর সাতযি়ান বলিরে একাংশ ভরাট করে বনিোদন কন্দ্রে করা হয়ছে।ে বড়বাজার থকেে বপোরপিারা চরে সাঁকো দযি়ে পারাপাররে ব্যাবস্থা ছলি। একটি সাকুর নচিে মাটি ভরাট করে রাস্তা তরৈি চষ্টো করা হচ্ছ।ে দড়পিাড়া ব্যাঙ মযি়ার তনি তলার পাশরে তালুকদারদরে পুকুরটি ইতমিধ্যে ভরাট করা হয়ছে।ে শহররে বদ্যিমান পুকুর গুলো হলো মাতৃ সদনরে সামনে পুকুর, জলো স্কুলরে হোস্টলে পুকুর, শখে হাসনিা সাংস্কৃতকি পল্লীর পুকুর, বসাকপাড়া কালী মন্দরিরে সামনে পুকুর, জাহদিা শফরি মহলিা কলজে পুকুর, আশকি মাহমুদ কলজে পুকুর, পটিআিই পুকুর, পানি উন্নয়ন র্বোডরে পুকুর, বসিকি পুকুর, মযি়া বাড়রি পুকুর, বলেটযি়া উচ্চ বদ্যিালয় পুকুর, বলেতযি়া উচ্চ বদ্যিালয় মাঠ সংলগ্ন পুকুর, নান্দনিা মহারানী হমেন্ত কুমারী উচ্চ বদ্যিালয় পুকুর, কুচগর পুকুর,
জামালপুর শহররে একটি গুরুত্বর্পূণ জলাভূমি ভরাট করে হাইটকে র্পাক তরৈি করা হচ্ছ।ে কুইরা বলি ভরাট করে আবাসকি এলাকা তরৈি করা হচ্ছ।েজামালপুর শহররে বক্ষিপ্তিভাবে এখনো অনকে জলাধার, পুকুর পাওয়া যায় যে পুকুর গুলো ব্যক্তগিতভাবে ভরাট করে বাসা বাড়রি জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে অথবা বক্রিি হয়ে যাচ্ছে শ্রণেী পরর্বিতন করা হচ্ছে । জলোর বভিন্নি প্রান্তে পুকুর গুলো ভরাট করার ক্ষত্রেে অধকিাংশ ক্ষত্রেইে পুকুরগুলোর মালকি তার নজিরে পুকুরে ভরাট করে কৃষি জমি অথবা বসবাসরে জন্য বাড়ি ভটিা তরৈি করার চষ্টো করছে।ে আমাদরে দশেরে আইন অনুযায়ী যকেউে ইচ্ছা করলইে তার জমরি শ্রণেি পরর্বিতন করতে পারে না । তার জন্য বশিষে অনুমতরি প্রয়োজন হয়। কন্তিু র্বতমান সময়ে শ্রণেী পরর্বিতনরে মধ্যদযি়ে এদরে ভরাট করা হচ্ছ,ে বলার কওে নাই। প্রশাসনরে র্ব্যথতায় আজ জলাধার গুলো প্রাণহীন, শ্রীহীন হয়ে পড়ছ।ে পুকুরগুলোর শ্রণেী পরর্বিতন করতে ব্যক্তি কারো অনুমতি অপক্ষো করনে না। তাতে আইনগত ভাবে কোন সমস্যা পোহাতে হয় না বল,ে আইন ভাঙ্গার প্রবণতা দনি দনি বাড়ছ।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments