
বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে আটকে পড়ে অথবা পানিতে ভেসে তীরে এসে মারা যাচ্ছে জেলিফিশ। এমনটি বলছেন, সমুদ্রবিজ্ঞানীরা।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আবু সাইয়েদ মো. শরীফ বলেন, ‘জেলিফিশ সাধারণত শীতকালে মারা যায় এবং মৃত অবস্থায় সাগর উপকূলে ভেসে আসে। বেশ কিছুদিন ধরে আমরা সাগরে ভেসে আসা জেলিফিশগুলো পরীক্ষা করে দেখেছি, এসব জেলিফিশ জেলের জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে। যেহেতু এত দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এখন মাছ ধরা শুরু হওয়ায় জেলেদের জালে আটকা পড়ছে। এ ছাড়া জেলিফিশ যেহেতু কম সাঁতার কাটতে জানে, তাই জোয়ারের পানিতে ভেসে এসে সাগরপাড়ে বালুচরে আটকে মারা যাচ্ছে। সাগরে পরিবেশ বিপর্যয়ের মতো কিছুই হয়নি।’কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান বলেন, এই সময়ে মাছগুলো মরার কোনো সিজন নয়। হয়তো বা জেলিফিশ উপকূলের কাছাকাছি এসে জেলেদের জালে আটকা পড়েছে। পরে জেলেরা মাছগুলো ফেলে দেওয়ায় মরা মাছ বেলাভূমিতে আসতে শুরু করেছে।
এদিকে বেশ কিছুদিন ধরে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে জোয়ারের সঙ্গে ভেসে আসছে অসংখ্য মরা জেলিফিশ। সৈকতের একাধিক পয়েন্টে আটকে পড়ে আছে এগুলো। কোনোটা আকারে ছোট, কোনোটা বড়। দেখতে অনেকটা অক্টোপাসের মতো। তবে এগুলো কী কারণে মারা যাচ্ছে কেউ বলতে পারছে না।
সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, সায়মন বিচ, দরিয়ানগর পয়েন্টসহ হিমছড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ ৫০ কিলোমিটারের একাধিক পয়েন্টে অসংখ্য মরা জেলিফিশ আটকা আছে। তবে পচা দুর্গন্ধের কারণে উৎসুক পর্যটকরা এসব জেলিফিশ দেখতে পারছেন না। বাতাসের বিপরীত দিকে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ দেখছেন। এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে গোটা সৈকতে দুর্গন্ধ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। জেলেদের কাছে জেলিফিশ সাগরের ‘লোনা’ হিসেবে পরিচিত।