Sunday, February 16, 2025
HomeNationalমিঠাপুকুরে নদী থেকে বালু উত্তোলন হুমকিতে বসতবাড়ি ও রাস্তা

মিঠাপুকুরে নদী থেকে বালু উত্তোলন হুমকিতে বসতবাড়ি ও রাস্তা

মিঠাপুকুর উপজেলার বিভিন্ন নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার ও ভেকু মেশিন বসিয়ে দেদার বালু ও মাটি উত্তোলন করে বিক্রি চলছে। এতে ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও পাকা রাস্তা হুমকির মুখে পড়েছে। টানা বৃষ্টিতে ও নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদীপাড়ের জমি ও ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে বালু বোঝাই ট্রাক দিন-রাত রাস্তায় চলাচল করায় সরকারের কোটি কোটি টাকার রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। তবে বালু খেকোরা বলছেন, তারা ডিসি, ইউএনও ও ভূমি অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে বালু উত্তোলন করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের যমুনাশ^রী ও পায়রাবন্দ ইউনিয়নের ঘাঘট নদী থেকে বালু তুলে ট্রাকে করে পাঠানো হচ্ছে। প্রতিদিন শত শত ট্রাক চলাচলের কারণে ধুলাবালিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উঁচা বালুয়া গ্রামের ফারুক মিয়া ও পায়রাবন্দ গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা পলাশ মিয়া দীর্ঘদিন ধরে দুটি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। এ ছাড়া আটপুনিয়া গ্রামের জুয়েল ভেকু দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা পলাশ মিয়া বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সবাই যদি বালু উত্তোলন বন্ধ করে তাহলে আমিও করব।
এদিকে হাছিয়া গ্রামে ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গেলে বালু উত্তোলনকারী ফারুক মিয়া বলেন, ‘আমি ডিসি, ইউএনও, ভূমি অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে বালু উত্তোলন করছি। আপনারা আসছেন কিছু নিয়ে চলে যান, ছবি তুলছেন কেন?’ আশপাশের জমির মালিকরা অভিযোগ করেন, জমির চার দিক থেকে ভূমি খেকোরা বালু ও মাটি কেটে নেয়ায় প্রতি বছর তাদের নিজ নিজ জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বিগত সময়ে বালু ও মাটি কাটার বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালালে বেশ কিছুদিন বালু উত্তোলন বন্ধ ছিল। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা জানান, নদী থেকে বালু ও মাটি কেটে পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার মতো কাজ কেউ করলে তাকে আমরা ছাড় দেব না। বালু উত্তোলনকারীদের আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments