
শুষ্ক মৌসুমে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে যমুনা নদী দিয়ে বেষ্টিত দুর্গম চরাঞ্চলের বন্যায় ভেঙে যাওয়া নাটুয়ারপাড়া নদীরক্ষা বাঁধ সংস্কারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ মৌসুমে বাঁধটি সংস্কার করা না গেলে বর্ষায় বাঁধটি বিলীনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
তারা জানান, ২০১৭ সালে নাটুয়ারাপাড়া এলাকায় নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে বাঁধের দুই প্রান্তে বালুচরে সহস্রাধিক হেক্টর জমি আবাদযোগ্য হয়। কিন্তু বছর দুয়েক পর বন্যায় বাঁধের একটি অংশ ভেঙে যায়। এরপর স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় নিজস্ব অর্থায়নে ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁধটি সংস্কার করেন। কিন্তু তাতেও বাঁধ ভাঙন থামেনি।
এতে করে গত কয়েক বছরের বন্যায় সাত কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বাঁধটি দুই কিলোমিটার নদীতে বিলীন হয়। এখন শুষ্ক মৌসুমে বাঁধটি সংস্কার করা না গেলে আসছে বর্ষায় পুরো বাঁধ নদীতে বিলীনের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নাটুয়ারপাড়ার কৃষক মতিয়ার রহমান জানান, নাটুয়ারপাড়া নদী রক্ষা বাধ নির্মাণের ফলে বাধের দুই পাশে আমার শতাধিক জমিতে ভুট্টা, খেসারি ও ধানের আবাদ করেছি। বাঁধ নির্মাণের ফলে আমার মত শত শত কৃষক বালুময় চরের এই জমিতে ফসল আবাদ করে লাভবান হচ্ছে।
একই এলাকার কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, আগে এসব জমি পানির নিচে থাকতো। বাঁধ নির্মাণের ফলে দুপাশে চরের পলি জমে জমি আবাদযোগ্য হয়েছে। এসব জমিতে আমরা নানা ধরনের ফসল আবাদ করে অর্থ উপার্জন করছি। কিন্তু গত কয়েক বছরে বন্যায় বাঁধ দুই কিলোমিটার নদীতে চলে গেছে। এখন শুষ্ক মৌসুমে বাঁধ সংস্কার করা না হলে আগামী বন্যায় বাঁধ আরও ভেঙে ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা যমুনা নদীতে বিলীন হবে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, সাধারণত আমরা চরাঞ্চলে কাজ করি না, চরাঞ্চলে আমাদের কোনো বরাদ্দও নেই। স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেছেন, তিনি ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধটি সংস্কারের জন্য অর্থ সহায়তা দেবেন আমরা কারিগরি সহায়তা করবো। এর ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ক্ষতিগ্রস্থ বাধটি পরিদর্শন করা হয়েছে এবং এবিষয়ে সাংসদকে বিস্তারিত জানানো হবে। তিনি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।