Tuesday, February 4, 2025
HomeLocalবড়শিতে জীবিকা, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা

বড়শিতে জীবিকা, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বড়শিতেই চলছে শতাধিক পরিবারের জীবন-জীবিকা। উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের কাঁঠালপাড়া গ্রামে কচুপাত্রা নদীর মাঝে সারিবদ্ধ ভাবে ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা বাঁধা রয়েছে। এসব নৌকা থেকে নদীতে ফেলা হচ্ছে বড়শি। বড়শি ফেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন কখন উঠবে কাঙ্খিত মাছ। কারও বড়শিতে চিংড়ি, গুলসা, বগুনা, কোড়াল, গাগঁড়া, পাঙ্গাশ, রুই, কাউন, পোয়া, বাইলা ও কাঁকড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা দিচ্ছে। আবার অনেক বড়শিতে উঠছে বড় সাইজেরও মাছ। এসব মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন ওইসব মৎস্যজীবিরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের কচুপাত্রা স্ল্যুইস সংলগ্ন নদীতে বড়শি ফেলে মাছ শিকারের মাধ্যমে শতাধিক জেলে পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। এসব মৎস্য শিকারীর কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। তারা ঝোক বুঝে চব্বিশ ঘণ্টাই কেউ না কেউ নৌকাতে দীর্ঘ সময় ধরে বড়শি নিয়ে বসে থাকেন। বর্তমানে নদীতে মাছ কমে গেছে। তাই অনেকেই এ পেশার পরিবর্তন করছেন বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবিরা।তিন বছর ধরে নৌকায় বসে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করছেন কাঁঠাল পাড়া গ্রামের বাসিন্দা রাজ্জাক মিয়া। তিনি বলেন, তিন বছর ধরে এই নদীতে বড়শি বাই। মাছ যা পাই তা বাজারে দুইশ থেকে তিনশ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। এর উপরই ৫ সদস্যের পুরো পরিবারের ভরণপোষণ চলে। অপর মাছ শিকারী মো.ছলেম উদ্দিন বলেন, আগে বড় সাইজের মাছ ধরা পড়তো। তবে এখন নদীতে মাছ কমে গেছে। 

ওই ইউনিয়নের নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো.মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, তারা দীর্ঘ দিন ধরে এই নদীতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরে। আর বিদ্যালয় ছুটি শেষে আমরাও ওদের কাছ থেকে মাছ কিনে বাড়িতে নিয়ে যাই।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, এসব জেলেদের জেলে কার্ড করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া সরকারী কোনো বরাদ্দ আসলে তাদের সহয়তা করা হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments