জলবায়ু পরিবর্তন, উষ্ণতা বৃদ্ধির মতো শব্দগুলো চলতে-ফিরতেই কানে আসছে। কারণ এসব বিষয় চলতি শতাব্দীর প্রধানতম চ্যালেঞ্জগুলোর অন্যতম।
বিশ্বের যেসব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে রয়েছে, বাংলাদেশ তাদের শীর্ষে। কিছু মানুষ এ ভয়াবহতা বুঝতে পেরে নিজেদের মতো কাজ শুরু করেছেন। এ রকম দুই ব্যক্তি হলেন রুনা খান ও মোহাম্মদ রেজোয়ান।
ফরাসি গণমাধ্যম অয়েস্ট-ফ্রান্সের সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ‘হাউ টু ডিল উইথ গ্লোবাল ওয়ার্মিং’ নামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটিতে রুনা ও রেজোয়ানের কাজ নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে রুনাকে নিয়ে বলা হয়, ২০০২ সালে ফ্রেন্ডশিপ নামের একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন রুনা খান। দেশের চরাঞ্চল ও সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক অঞ্চলেই এনজিওটি কাজ করে।
একটা পর্যায়ে ভাসমান হাসপাতাল নিয়ে কাজ শুরু করেন রুনা। ২০২২ সালের মধ্যে তার ভাসমান হাসপাতালের সংখ্যা দাঁড়ায় সাত। এখন পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদেই ফ্রেন্ডশিপের কাজ সীমাবদ্ধ।
হাসপাতালগুলোয় বাংলাদেশি ডাক্তারদের পাশাপাশি ডাচ, ইংরেজ ও ফরাসি ডাক্তারেরাও কাজ করেন। চোখের নানান ধরনের চিকিৎসা, অপারেশন, স্ত্রীরোগের চিকিৎসা করা যায় এসব হাসপাতালে।
প্রতিবেদনটিতে স্থপতি মোহাম্মদ রেজোয়ানের কাজ সম্পর্কে বলা হয়, ২০০২ সাল থেকে ভাসমান স্কুলের ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। ইতোমধ্যে তার স্কুলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০। প্রতিটা স্কুলের দৈর্ঘ্য ১৬ মিটার। এতে ক্লাসরুমের পাশাপাশি রয়েছে ছোট একটি খেলার মাঠ। শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের কম্পিউটার, ক্লাসরুমের বাতি ইত্যাদি চলে সৌর বিদ্যুতে।
ভাসমান স্কুলের পাশাপাশি ভাসমান খামারের ধারণা নিয়েও কাজ করছেন রেজোয়ান। প্রাথমিকভাবে সবজি ও ড্রমে মাছ চাষ শুরু করেছেন তিনি।
ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ২০ শতাংশ ভূমি পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে। ফলে বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দেশের অভ্যন্তরে শরণার্থী হয়ে পড়তে পারেন।